ঢাকা,

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫


২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরতের নির্দেশ

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৪৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরতের নির্দেশ

ফাইল ছবি

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

আইনজীবীরা বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। রায় অনুযায়ী ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১১৩৭ জনকে ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে। এর আগে, গতকাল বুধবার ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত চেয়ে আপিল শুনানি শেষ হয়। এই বিষয়ে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২৭তম বিসিএস-এর প্রথম মৌখিক পরীক্ষা ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাতিল করে দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে মনির হোসেনসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৮ সালের ৩ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে পিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের ওই রায়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এই পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের পক্ষে মো. সোহেল রানাসহ বেশ ক'জন পরীক্ষার্থী ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন। পরবর্তীতে বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দিন চৌধুরী রুমী ও বিচারপতি এবি সিদ্দিকীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বরের দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। সে রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তিন মাসের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া এবং দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে নিযুক্তদের বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা তিনটি আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১১ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ রায় দেন। সেই রায়ে ২৭তম বিসিএস-এর প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিল বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের 'লিভ টু আপিল' পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

 

টিএইচ

News