ঢাকা,

৩১ জানুয়ারি ২০২৫


চাঁদা না দেয়ায় জবির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘জুলাইয়ের হত্যাচেষ্টা মামলা’

তারেক হাসান, জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত হয়েছে: ০০:০৩, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

চাঁদা না দেয়ায় জবির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘জুলাইয়ের হত্যাচেষ্টা মামলা’

ছবি: ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এহসানুল মাহবুব যোবায়ের

চাঁদা না দেয়ায় উত্তরার এক তরুণ ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে জুলাইয়ের হত্যাচেষ্টা মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এহসানুল মাহবুব যোবায়ের উত্তরায় একটি বায়িং হাউজের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে আছেন। গাজীপুরে গার্মেন্টসও ব্যবসা রয়েছে।

এছাড়াও তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদদাতা ছিলেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ জুলাই ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকায় অভিযুক্তরা গুলি ছুড়েন। এতে বিবাদী গুরুতর আহত ও গুলিবিদ্ধ হন। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গাজীপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলাটি দায়ের করেছেন মো. জাহিদুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তি।

জানা যায়, ৫ আগস্টের পর নির্মাণাধীন গার্মেন্টসে স্থানীয় বিএনপি গাজীপুর মহানগরীর নেতা অমিত কুমার নুপুর, আবুল কালাম আজাদ, আলী আসাদ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম সহ কয়েকজন লোক এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রেও বাঁধা প্রদান করে। স্থানীয়রা জানান, আলী আসাদ এলাকায় সব জায়গা থেকে চাঁদা উঠান। আওয়ামীলীগের আমলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সহ-সভাপতি ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তুলতেন।

গত ৫ আগস্টের পর বিএনপি গাজীপুর মহানগর নেতা অমিত কুমার নুপুর সহ এলাকায় চাঁদাবাজিতে নামেন।

এ বিষয়ে এহসানুল মাহবুব যোবায়ের বলেন, ২০ জুলাই আমি উত্তরায় আমাদের হেড অফিসে ছিলাম। এখানে থেকে আমি শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। এছাড়াও আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করি। জুলাই আন্দোলনের একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দেয়া হতাশাজনক। তবে এই মামলাটি কে বা কারা দিয়েছে সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আলি আসাদ ও অমিত কুমার আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা দাবি করে। আমি তাদের নামে গাছা থানায় অভিযোগ করি এবং পরবর্তীতে গাজীপুর কোর্টে মামলা করি। তারা এই ঘটনার প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নাম ঢুকিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশে যেভাবে ভূয়া মামলা হচ্ছে এই ভুক্তভোগী যদি সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত হয় উনি ন্যয়বিচার পাবেন না। এর কারণ, এভাবে ভূয়া মামলায় যেভাবে মানুষের নাম ঢুকানো হচ্ছে যার কোনো মেরিট নাই। এইভাবে গণহারে মামলা দেয়া/নেয়ার সমাধান কি? আদালতে এই মামলা টিকবে না সেটা আমি জানি। কিন্তু, আদালতে আমাকে যেতে হবে কেন? কেন আমাকে আইনজীবী ধরে জামিন নিতে হবে? এসব প্রতিকার কি!

টিএইচ

News