ঢাকা,

১৪ মার্চ ২০২৫


দেশে তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯:৫২, ১৩ মার্চ ২০২৫

দেশে তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা গত তিন মাসে প্রায় ৫ হাজার বেড়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান এবং অনেকেই নিজেদের আমানত ব্যাংক থেকে তুলে নেন। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ায়, ব্যাংক খাতে অর্থের প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে, ফলে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি, যার মধ্যে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি এবং আমানতের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। এর মানে, তিন মাসে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি এবং আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।

এছাড়া, ডিসেম্বর শেষে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮১টি, যা তিন মাস আগে ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। ফলে তিন মাসে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ৯৫৪টি।

ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। এতে অনেক প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেগুলো একাধিক ব্যাংক হিসাব খুলতে পারে। বিশেষ করে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটিপতি হিসাবও রয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কোটিপতি হিসাবধারী ছিল মাত্র ৫ জন। ১৯৭৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ জনে এবং ১৯৮০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯৮টি। ২০০৮ সালে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি, যা ২০২০ সালের শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টি এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮১টি।

এতে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে বড় আকারে অর্থের জমা এবং কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি।

ইউ

News