ছবি সংগৃহীত
বর্তমানে দেশের শিল্প খাত নানা সমস্যার মুখে পড়েছে, এবং এই অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট খাতের জন্য বিপদজনক হতে পারে বলে মনে করছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যার ফলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং নতুন বিনিয়োগ আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
বিপিজিএমইএ’র নেতারা দাবি করেছেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দেশের শিল্পখাতের জন্য এক ধরনের ধ্বংসাত্মক চক্রান্ত, যা ইতিমধ্যে শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। তারা আরও জানিয়েছেন, দেশি গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এখনও নির্মিত হয়নি, ফলে ভবিষ্যতে এই সংকট আরও গভীর হতে পারে।
বিপিজিএমইএ’র সভাপতি সামিম আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াতে পারে। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এ ছাড়াও, গ্যাস সরবরাহের সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক এবং বিপিজিএমইএ’র উপদেষ্টা ড. ইজাজ হোসেন বলেছেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে শিল্প খাত বিপর্যস্ত হবে, এবং দ্রুত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, বাসাবাড়ি ও সিএনজি সেক্টরের গ্যাস বন্ধ করে হলেও শিল্প খাতকে বাঁচানো উচিত।
এছাড়া, বিপিজিএমইএ’র সদস্যরা কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে নতুন গ্যাস কূপ খনন, এলএনজি আমদানির শুল্ক-কর প্রত্যাহার এবং গ্যাসের বর্তমান মূল্য ৩০ টাকা রক্ষণাবেক্ষণ করার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিপিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন সরকারকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, দেশের শিল্প খাত ধ্বংসের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেওয়া যাবে না। শিল্পখাতের উন্নয়ন এবং দেশের স্বার্থে এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত।
ইউ