ফাইল ছবি
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার বাড়তে যাচ্ছে। নতুন হারে মুনাফা ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) আদেশ জারি করতে অনুরোধ করেছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অর্থ বিভাগ জানায়, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নির্ধারণে পাঁচ বছর মেয়াদি ও দুই বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদহার বিবেচনায় নেওয়া হবে। নতুন হারে মুনাফা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। এরপর ছয় মাস পর নতুন হার নির্ধারণ করা হবে, যা জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানোর এই সুপারিশ অর্থসচিবের নেতৃত্বাধীন নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা কমিটির (সিডিএমসি) মাধ্যমে এসেছে। সিডিএমসিকে সহায়তা করেছে অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ।
বর্তমানে চালু সঞ্চয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ ও মেয়াদি হিসাব। এছাড়া প্রবাসীদের জন্য ওয়েজ আর্নারস ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডও এই কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। তবে এসব বন্ডের মুনাফার হারে পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়নি।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মুনাফার হার ১২ শতাংশের নিচে নামবে না। সবচেয়ে কম মুনাফা পাওয়া যাবে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের ক্ষেত্রে, যা হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ মুনাফা ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ধাপেও পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে তিনটি ধাপের বিনিয়োগ সীমা রয়েছে, যা নতুন নিয়মে দুটি ধাপে ভাগ করা হবে। এক ধাপে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার কম এবং অন্য ধাপে এর চেয়ে বেশি বিনিয়োগকারীরা অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এই পরিবর্তন নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। যারা ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করেছেন, তারা আগের মুনাফার হারেই উপকৃত হবেন।
ইউ