ফাইল ছবি
গত ১৯ মাসের মধ্য বিশ্বে খাদ্যের দামে সর্বোচ্চ ছিল নভেম্বর মাসে। আজ শুক্রবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য মূল্য সূচকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের এপ্রিলের পর নভেম্বরে খাদ্যের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) এই মূল্য সূচক তৈরি করে থাকে। সূচকে নভেম্বরে এর মান ছিল ১২৭.৫ পয়েন্ট। আর অক্টোবরে ছিল ১২৬.৯ পয়েন্ট। শতাংশের হিসেবে এই মূল বৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় ৫.৭ ভাগ বেশি। বিশ্বব্যাপী খাদ্য বেচাকেনা পর্যবেক্ষণ করে এই সূচক তৈরি করা হয়।
ভোজ্যতেলের দামে একমাসের ব্যবধানে ৫.৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। আর গত বছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ। ভোজ্যতেলের এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অত্যধিক বৃষ্টিপাতের কারণে পাম তেলের উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাহিদার কারণে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে সরিষা ও সূর্যমুখী তেলের দামও বেড়েছে। তবে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও কিছু খাদ্যের মূল্য সূচক কমেছে। গম ও চালের দাম অক্টোবর থেকে ২.৭ শতাংশ কমেছে। চিনির দাম কমেছে ২.৪ শতাংশ।
পৃথক এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের উৎপাদন ২.৮৪৮ বিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে ২.৮৪১ বিলিয়ন মেট্রিক টন হতে পারে। যা গত বছরের থেকে ০.৬ শতাংশ কম।
এদিকে, বিশ্ব খাদ্যের চাহিদা ২০২৪-২৫ সালে ০.৬ শতাংশ বাড়িয়ে ২.৮৫৯ বিলিয়ন টন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে এফএও আশা করছে, খাদ্যশস্যের মজুত ২০২৫ মৌসুমের শেষের দিকে ৩০.৮ শতাংশ থেকে ৩০.১ শতাংশে নেমে আসতে পারে। যদিও সূচকে এখন পর্যন্ত খাদ্যপণ্যের সরবরাহ সন্তোষজনক বলে জানানো হয়েছে।
টিএইচ