ঢাকা,

১৮ অক্টোবর ২০২৪


কিছু আড়তদার ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন যে কারণ

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ২০:১০, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

কিছু আড়তদার ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন যে কারণ

ফাইল ছবি

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ডিমের দাম লাগামহীন। অনেক সময় প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। দামের লাগাম টানতে ভারত থেকে কয়েক দফায় ডিম আমদানি করা করা হয়। কিন্তু আড়তদারদের কারসাজিতে দাম কমানো যায়নি। এমন অবস্থায় ক্রেতারা সরকারের বেঁধে দেয়া দামে ডিম কিনতে না পারা, রশিদ না দেয়া, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানার কারণে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছে কিছু আড়তদার।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন জানান, গতকাল আমাদের ডিম কিনতে হয়েছে ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সরকার নির্ধারিত দাম ১১ টাকা ০১ পয়সা। এ ছাড়া যাদের কাছ থেকে ডিম কিনছি তারা রশিদ দিচ্ছে না। হয়রানি থেকে বাঁচতে আজ থেকে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছি। সরকারি দামে কিনতে পারলে তখন আড়তে ডিম বেচবো। আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ থাকলেও খুচরা বিক্রেতারা এখনো ডিম বিক্রি করছেন। বকশির হাটে সাদা ডিম ডজন ১৬৫ টাকা, বাদামি ডিম ১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।  

ভারতে প্রতি পিস ডিমের দাম বাংলাদেশি টাকায় ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকা। সারাবছরই সেখানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হয় স্থানীয় মুদ্রায় সাড়ে ৫/৬ রুপিতে। দেশটিতে বন্যা ও বৃষ্টির অজুহাতে ডিমের দাম বাড়েনি। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে প্রতিটি ডিম কিনতে হয়েছে ১০ টাকার বেশি দামে। এখন সেই ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা। অর্থাৎ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষকে দ্বিগুণ দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন, পাশের দেশে কম দামে বিক্রি হলে বাংলাদেশে এত বেশি কেন? এদিকে এমন সময়ে ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে যখন নিত্যপণ্যের বাজারে মাছ, সবজি থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছুর দাম চড়া। 

ক্ষুদ্র খামারিরা বলছেন, ডিমের চাহিদা বাড়লেও এই সময়ে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যায় পোল্ট্রি খামার ক্ষতির মুখে পড়ে দৈনিক প্রায় ৫০ লাখ ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। বাধ্য হয়ে কৃষি বিপণন অধিদফতর প্রতিটি ডিমের দাম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা বেঁধে দেয়। কিন্তু তাতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না এসে উল্টো দাম আরও বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সরকার সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ফার্মের প্রতি ডজন (১২টি) ডিমের জন্য দোকানভেদে এখনও গুণতে হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।  

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন বলেছেন, নতুন সরকারের প্রথম দুই সপ্তাহে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাজারে কোনও পদক্ষেপ না থাকায় দাম বাড়তে থাকে। ডিম এখনও নাগালের বাইরে। 

ইউ

News